৫০ বছর আগে মানুষ চাঁদে গেলে পরে আর যায়নি কেন

১৯৬৯ সালে সর্বপ্রথম মানুষ চাঁদে পা রাখে । যা বিজ্ঞানের একটি বিশাল অর্জন'। মানব সভ্যতার বিশাল এক সাফল্য হিসেবে দাবি  অভিযান সংশ্লিষ্টদের। কিন্তু অভিযানের পর থেকেই নানা রকমের যুক্তিও প্রশ্ন তোলে অনেকেরই দাবি চাঁদে মানুষ যায়নি। এটি সম্পূর্ণ একটি সাজানো নাটক। দর্শক আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব সত্যি কি মানুষ চাঁদে গিয়েছে কিনা 50 বছর  আগে যদি গিয়ে থাকলেও কেন বর্তমানে আর চাঁদে যাওয়া হয়নি বিস্তারিত আলোচনা করব। 


৫৩ বছর আগে চন্দ্র অভিযান এর পিছনে নানা তর্ক এমন বিতর্ক  এবং পক্ষে-বিপক্ষের  যুক্তি-প্রমাণ নিয়ে তুলে ধরবো। 

চাঁদের দেশে থেকে আসার পর ইতিহাস

বিতর্ক এর শুরুটা হয়েছিল ১৯৭৬ বিল কেসিং লেখা  we never went to the  moon মাধ্যমে। তিনি কাজ করতেন  নাসার একটি টিকাদর কোম্পানি জনসংযোগ বিভাগের। তার বইয়ের মূল বিষয় ছিল  মানুষ কখনো চাঁদে যায়নি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আসলে ৩ হাজার কোটি ডলারের প্রতারণা করা হয়েছে। 

চাঁদ  যাত্রার ইতিহাস

এদিকে এই অভিযানকে অবিশ্বাস করে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে  চাঁদে  তো বাতাস নেই তাহলে  সেখানে তোলা ছবিতে  মার্কিন পতাকা উড়ছে  কি করে। শুধু তাই নয়  তাঁর আরেকটি প্রশ্ন তুলেছেন প্রকাশিত ছবিতে   চাঁদের আকাশে তারামণ্ডল কেন দেখা দেখা যাচ্ছে না। 

নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি জ্যোতির্বিজ্ঞানী  paul delaney মতে বাতাস না থাকায় পতাকাটি দাঁড়ানো স্ট্যান্ড এর সাথে এক অনুভূতি স্টিক ব্যবহার করে  ঝুলানো হয়েছে  যা পতাকাটি একটু কুঁচকে থাকার কারণে দেখতে মনে হয় যেন পতাকাটি উঠছে। তবে সত্যিই যদি পতাকাটি বাতাসে উড়তো অন্য সব ছবিতে তা একইভাবে কোঁচকানো থাকত না পতাকাটি। 

তার এই অভিযানের  নাসার ইঞ্জিনিয়ার  স্কিন ক্লার্ক পতাকাটির জন্য বিশেষ কাঠামোর এই ডিজাইন তৈরি করেছিলেন। 


ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের অধ্যাপক ব্রায়ান কোবের্লিন মতে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয় যার কারণে ছবির উজ্জলতা ছিল বেশি আর এই উজ্জ্বল আলোর কারণে পিছনের  আকাশের তারা ছবিতে ব্ল্যাক হয়ে গেছে। এছাড়া সেখানে ব্যবহৃত ক্যামেরায় এমনভাবে সেট করা ছিল তাতে চাঁদের মাটির কাছাকাছি নানা দৃশ্য ছবি খুব সহজে তোলা যায়। 

পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান জাতি কারা

আরেকটি প্রচলিত যুক্তি ছিল পৃথিবীতে গিরে যে  ব্যান্ডেল এন্ড বেলজ তেজস্ক্রিয়তার পরিমণ্ডল রয়েছে তাতে নভোচারীদের মারা যাওয়ার কথা। কিন্তু তারা কিভাবে চাঁদে গেল। এই ব্যান্ডেল এন্ড বেলজ তেজস্ক্রিয়তার আবিষ্কারক ব্যান্ড অ্যালেন্ড বলেন অ্যাপোলো এলিভেন নভোযানটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল যা  তেজস্ক্রিয় তা থেকে সুরক্ষা দিয়েছে। এছাড়া তারা চাঁদে যাওয়ার সময় ব্যান্ডেল এন্ড বেলজ ছিলেন মাত্র 2 ঘন্টা। আর এই ব্যান্ডেল যে অংশে তেজস্ক্রিয় পরিমাণ অনেক বেশি সেখানে ছিল মাত্র 5 মিনিট এর কম সময়। ফলে তাদের উপর তেজস্ক্রিয় প্রভাব  একেবারে পড়েনি। 

চাঁদে মানুষ পাঠানোর প্রকল্প স্থগিত করল নাসা

তাছাড়া এই অভিযান কে ঘিরে আরেকটি প্রশ্ন উঠেছে অর্ধশত বছর আগে মানুষ যদি চাঁদে গিয়ে থাকে তারপর আর যায়নি কেন। এ প্রসঙ্গে জানা গেছে এখন পর্যন্ত 6 টি অভিযানে  12 জন নভোচারি চাঁদে গেছে তারা চাঁদের যথেষ্ট নমুনা সংগ্রহ করেছেন। পরবর্তীতে প্রযুক্তি আরো উন্নত হওয়ায় বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন  মনুষ্যবিহীন নভোযান চাঁদদে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য  সংগ্রহ করতে পেরেছেন তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাঠানোর প্রয়োজন পড়েনি। 


২০০৯ থেকে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করা একটি নভোযান তাদের বেশ কিছু ছবি তুলেছিল ছবিতে দেখা গেছে  চাঁদের মাটিতে অ্যাপোল এলিভেন নামার স্পষ্ট ছাপ দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের  পতাকা  ও সেখানে পড়ে নুলার মডিউল এর কিছু অংশ  আর এসব তথ্যপ্রমাণ বুঝিয়ে দে যে চাঁদে সত্যিই এক সময় মানুষ গিয়েছিল।

 পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় প্রাণীর বিলুপ্তি ঘটে কবে 

এ ধরনের নিত্য নতুন তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটি এখনি লাইক দিয়ে সাথে থাকুন নতুন নতুন আপডেট পেয়ে যাবেন


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url