পুরাতন ফোনের গতি বাড়ানোর কৌশল। মোবাইল ফোন স্লো হয় কেন

এই পোস্ট থেকে আমরা জানতে পারব পুরাতন ফোন  যদি স্লো হয়ে যায় সেই ফোনের গতি কিভাবে বাড়ানো যায় বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য  টিপস শেয়ার করব আপনাদের মাঝে। 


আমরা অনেক সময় দেখা যায় নতুন ফোন কিছুদিন ব্যবহার করার ফলে প্রথমদিকে মোবাইল কিনার পরে যে গতি ছিল সেই গতি এখন কমে গেছে অথবা মোবাইল ফোন স্লো হয়ে গেছে। এটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। খুব সহজেই আপনি আপনার ফোনটি গতি বাড়িয়ে নিতে পারেন। তবে আমাদের ফোনে গতির কমে যাওয়ার কারণ, আমরা নিজেরাই, সঠিকভাবে ব্যবহার না করার কারণে আমাদের মোবাইল ফোনের স্পিড কমে যায়। তো চলুন জেনে নেই কিভাবে মোবাইল ফোনে স্পিড বাড়ানো যায় 


অব্যবহৃত অ্যাপ ডিলিট করুন। 

আমরা অনেকেই প্লে স্টোর থেকে নতুন নতুন অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যাবহার করে থাকি। আপনার মোবাইল ফোনের storage যত বেশিই হোক না কেন একটা সময় তা ফুল হয়ে যায়। তাছাড়া অনেক সময় মোবাইল ফোনে ব্যাকগ্রাউন্ডে অনেকের অ্যাপ চালু থাকে বলে  ,তাই আমাদের অজান্তেই মোবাইল ফোন স্লো হয়ে যায়। তাই আপনাকে মাঝে মাঝে অ্যাপ্লিকেশন ম্যানেজার ওপেন করে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশনগুলো ডিলিট করে দিতে হবে। আপনি চাইলে আপনার মোবাইল ফোনে ইনস্টল করা যে নোটিফিকেশনগুলো অপ্রয়োজনীয় সেগুলো অফ করে রাখতে পারেন এতে সিস্টেম রিসোর্ট সেভ হয় ও ফোন চাপমুক্ত থাকে। 


ফোন নিয়মিত রিস্টার্ট করুন 

নিয়মিত মোবাইল ফোন রিস্টার্ট করুন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আমরা অধিকাংশ ব্যবহারকারী অবহেলা করি। কম্পিউটার মতো মোবাইল ফোন রিস্টার্ট করলে অনেক ধরনের সমস্যা সমাধান করা যায়। মাত্র 25 সেকেন্ড মধ্যে আপনার ফোনটি রিস্টার্ট করে নিতে পারেন। ফোন রিস্টার্ট করা খুব একটি স্বাভাবিক বিষয় হলেও ফোন রিস্টার্ট মাধ্যমে মেমোরি  ফ্রী হয় বলে ইনস্ট্যান্ট স্পিড বুষ্ট পাওয়া যায়। আবার  ইস্টক হাওয়া অ্যাপ গুলো স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে শুরু করে। কিছু কিছু অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে টাচ ম্যানেজার থেকে সরিয়ে দিল ব্যাকগ্রাউন্ডে থেকে যায় যার ফলে ফোনের রেমের জায়গা দখল করে থাকে আর আপনার ফোনে যদি রেম কম হয় তাহলে আপনার ফোনের পারফরমেন্সের উপর চাপ পড়বে।  তাই পুরনো ফোনের গতি বাড়ানোর জন্য নিয়মিত রিস্টার্ট করুন মোবাইল ফোন 


মোবাইল ফোন নিয়মিত আপডেট করুন 

আমরা একদল লোক যারা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করি কিন্তু কি স্মার্টফোনে আপডেট আসলে আপডেট আমরা দেই না যা একটি ভুল কাজ। সিস্টেম আপডেট অথবা এপ্লিকেশন আপডেট এড়িয়ে চলা ঠিক নয়।  নতুন ফিচার এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধান পাওয়া যায় এই সব  আপডেটের মাধ্যমে তাই দীর্ঘমেয়াদি আপডেট না করা এক ধরনের বোকামির মত কাজ করা। এছাড়া প্রতি আপডেট  লেটাস্ট  সিকিউরিটি থ্যারেটের বিরুদ্ধে প্রটেকশন ও যুক্ত হয়ে থাকে তাই ফোন যদি ঠিক মত কাজ না করে  কোন সিস্টেম আপডেট বা কোন অ্যাপ আপডেট পেন্টিং আছে কিনা  চেক করুন।


 তবে ফোনের নতুন কোন আপডেট আসলে সাথে সাথে আপডেট ইনস্টল না করে সপ্তাহখানেক অপেক্ষা করতে পারেন। অনেক সময় নতুন আপডেট ক্রটি থাকার কারণে সেগুলো ইন্সটল করলে উলটো বিপদে পড়তে হয়। কিন্তু ডেভলপাররা  এবং টেস্টার নতুন আপডেট আসার পর  তা ব্যবহার করে দ্রুত ফিডব্যাক দিয়ে থাকে যার ফলে আপডেটে ত্রুটি থাকলে খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান করে নে।   তাই নতুন কোন আপডেট আসলে অবশ্যই সপ্তাহখানেক অপেক্ষা  করে আপডেট ইনস্টল করুন। 

ইন্টারনাল স্টোরেজ যথাসম্ভব খালি রাখুন 

অ্যপ তো ডিলিট করা হলো কিন্তু ইন্টারনাল স্টরেজে থাকে ছবি, ভিডিও, এইগুলো কি হবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কিন্তু ইন্টারনাল স্টোর ক্লিয়ার করে না  এতে ইন্টারনাল স্টোর ফুল হয়ে যাওয়ার কারণে মোবাইল ফোন অনেক সময় স্লো হয়ে যায়। ইন্টারনাল স্টোরেজ সর্বোচ্চ খালি রাখার চেষ্টা করবেন এতে করে আপনার ফোনে পারফরম্যান্স ভাল পাবেন। 


যদি এক্সটার্নাল মেমোরি সাপোর্ট থাকে সকল অডিও ভিডিও ডকুমেন্ট মেমোরিতে রাখবেন এত করে ইন্টারনাল স্টোরেজ খালি থাকবে । তাছাড়া আপনি চাইলে গুগোল ড্রাইভ ব্যবহার করে ইন্টারনাল স্টোরেজ  উপর চাপ কমাতে পারেন। বর্তমানে প্রায় অধিকাংশ স্মার্টফোনে  ইন্টারনাল স্টোরেজ ক্লিন রাখার জন্য অ্যাপ্লিকেশন থাকে, যা ব্যবহার করে অপ্রয়োজনীয় ফাইল ও অ্যপ খুব সহজে ডিলিট করা যায়। 

বিভিন্ন লাইট অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করুন 

ফেসবুক থেকে শুরু করে গুগল ম্যাপ পর্যন্ত বর্তমানে প্রায় সব অ্যাপ্লিকেশন লাইট ভার্সন রয়েছে। আপনার ফোনে  কোন অ্যাপ ভালোভাবে কাজ না করলে সেই অ্যাপ এর লাইট ভার্সন টি ব্যবহার করতে পারেন । এই সব লাইট অ্যাপ ফোনের উপর কম চাপ প্রয়োগ করে থাকে তারপরও উক্ত অ্যাপের অফিশিয়াল  অ্যাপ্লিকেশনের যেই ফিচার রয়েছে সকল ফিচার পাওয়া যায় লাইট ভার্সন। যেমন ফেইসবুক অফিসের অ্যাপ পরিবর্তে ফেসবুক,মেসেঞ্জার  লাইট অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এসব লাইট অ্যাপ অপেক্ষাকৃত কম ডাটা  খরচ করে যে কোন ক্ষেত্রে। যা আপনার ফোনের উপর কোন চাপ প্রয়োগ করে থাকে। 


ডিসপ্লে সেটিং কাস্টমাইজ করুন 

অনেক সময় আমরা দেখা যায় স্মার্টফোনের  ডিসপ্লে আলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এনিমেশন শো করে এত করে ফোনের চাপ প্রয়োগ করে  যার ফলে ফোনের পারফরম্যান্স কমতে থাকে। ফোনের পারফরম্যান্স এর ক্ষেত্রে  ফোনের ডিসপ্লে সেটিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাছাড়া আপনার ফোনে হুম ডিসপ্লে তে ফন্টগুলো ফিচার  ইউজ করেন তাহলে আপনার ফোন স্লো হয়ে যাবে। আবার সব সময় ফোনের ব্রাইটনেস ফুল রাখলে সে ক্ষেত্রে  ব্যাটারি গরম হওয়া থেকে শুরু করে স্মার্টফোনের পারফরম্যান্স কমতে পারে আপনার মোবাইল ফোনে। ব্যাটারি বেশি গরম হলে ড্রাগ মুড ব্যবহার করতে পারেন  যা ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়াতে পারে। 

ফ্যাক্টরি রিসেট করুন 

উপরের সকল বিষয় প্রয়োগ করার পরও যদি আপনার পুরনো ফোনর স্পিড না বাড়ে তাহলে আপনার স্মার্টফোনটি একবার ফ্যাক্টরি রিসেট দিতে পারেন। স্মার্টফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করার পরে স্মার্ট ফোনের সকল ডাটা এবং অ্যাপ্লিকেশন ক্লিন হয়ে যায় যার ফলে  মোবাইল ফোন নতুন ক্রয় করলে যে রকম থাকে ঠিক সেরকম হয়ে যায় ফ্যাক্টরি রিসেট করলে। তাই কোন উপায়ে যদি আপনার ফোনের দ্রুতগতির করতে না পারেন তাহলে শেষ চেষ্টা হিসেবে একবার  ফ্যাক্টরি রিসেট দিয়ে দেখতে পারেন। এছাড়া আপনি চাইলে  ব্যাটারি পরিবর্তন করে অফিশিয়াল ব্যাটারি নতুন লাগাতে পারেন। 

আশা করি  আপনার স্মার্টফোনটি উপরের  উল্লেখযোগ্য টিপস যদি ব্যবহার করেন আপনার স্মার্টফোনটি  আগের চেয়ে কিছুটা হল গতি বাড়বে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url